প্রবাদ আছে- কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ। কিন্তু পানি দিবস চলে গেলেও পানির জন্য হাহাকার করছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার হাজারও কৃষক। চাষাবাদে আগ্রহ থাকলেও পানির অভাবে অনেক কৃষকরা কৃষিকাজ ছেড়ে জমি বর্গা দিয়েছেন। তবে বর্গা চাষিরাও জমি চাষাবাদে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
শুধু চাষাবাদের জন্য নয়, খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জলাশয়ে পানি না থাকায় অনেক নলকুপেও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
কৃষকদের অভিযোগ- চাষি জমির সঙ্গে সংযোগ অনেক নদী-নালা ও খাল-বিল দখল, দূষণ আর কালেরগর্ভে বিলীন হওয়ায় চাষাবাদ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার সর্ববৃহৎ বাসিয়া নদী আজ দখল আর দূষণে বিলীন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই নদীটি ঘিলে খাচ্ছে দখলবাজরা। এছাড়া দখল আর দূষণে বিলীন হচ্ছে মাকুন্দা নদী আর চরচন্ডি নদী। এ নদীগুলো থেকে বিভিন্ন হাওরের সঙ্গে সংযোগ খালগুলোও বিলীন হয়ে পড়েছে। তাই খালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোরো জমিগুলোতে চাষাবাদ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।
চান্দবরাং গ্রামের কৃষক শিহাব আহমদ জানান, কাঠাকালি নামের খালে পানি না থাকায় বোরো চাষিরা বিপাকে রয়েছেন। বৃষ্টি না হলে জমি ফেটে চাষকৃত ধান নষ্ট হবে।
কৃষক মোহাম্মদ আলী শিপন বলেন, আঙ্গরুকা হাওরে বেশ কয়েক একর জমিতে বোরো চাষাবাদ করি। কিন্তু পানির জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বাসিয়া নদীর সঙ্গে আঙ্গারুকা নামের খালটি খনন করা হলে অনেকটা উপকৃত হতেন কৃষকরা।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, নদী ও নদী থেকে হাওরের সঙ্গে সংযোগ বরাট হওয়া খালগুলো খনন করা হলে এই উপজেলায় কৃষি খাতে অনেক বেশি সাফল্য আসত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।